ডেস্ক নিউজ : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিআরটিসিকে অনিয়মের ধারা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। কর্মকর্তা কর্মচারীদের সততা নিষ্ঠা ও দেশপ্রেম নিয়ে কাজ করতে হবে। মনে রাখতে হবে, কেউ জবাবদিহিতার ঊর্ধ্বে নয়।
শনিবার সকালে বিআরটিসির প্রধান কার্যালয়ে ঈদ সার্ভিস উপলক্ষে বিআরটিসির গৃহীত পদক্ষেপ ও দিকনির্দেশনামূলক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।
ঈদের সময় সড়ক দুর্ঘটনা বেড়ে যায়। মূল্যবান প্রাণহানি হয়, তাই ঈদ পূর্ববর্তী এবং পরবর্তী যাত্রায় সতর্কতার সঙ্গে গাড়ি চালানোয় পরিবহন মালিক শ্রমিকদের অনুরোধ জানান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী। তিনি ঈদের পর কোনোরূপ শৈথিল্য না দেখিয়ে কড়া নজরদারির জন্য জেলা পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
কাদের বলেন, সরকার মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধ এবং চিকিৎসায় সর্বোচ্চ প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে।
দুর্যোগ ও সংকটের সাহসী নেতৃত্ব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিটি বিষয়ে নিবিড়ভাবে মনিটর করছেন উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনার হাত ধরেই দেশে স্থাপিত হয়েছে হাজার হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক। চিকিৎসা সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে বিভিন্ন জেলায় স্থাপন করা হয়েছে মেডিকেল কলেজ এবং বিভাগীয় পর্যায়ে স্থাপন করা হচ্ছে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এসব উন্নয়ন ও অগ্রগতি এবং জনমানুষের প্রতি তার যে প্রগাঢ় ভালবাসা, তাতে দেশের মানুষকে তার উপর আস্থা রাখারও আহ্বান জানান মন্ত্রী।
তিনি বলেন, দেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা, তিনি দেশের সাথে মিলিয়েছেন তাঁর নিজের জীবনের আশা আকাঙ্খা, সংকটে তিনি আস্থার প্রতীক।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আস্থার সাথে মনোবল দৃঢ় রেখে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে হবে। তাহলেই করোনার এ অমানিশা কেটে আবারও আমরা চিরচেনা সতেজ পৃথিবীতে, পরিচিত কোলাহলে ফিরতে পারব।